ওয়েব ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে এখন কোনও অংশে পিছিয়ে নেই মহিলারা। বরং অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। একটা কথা বিশ্বজুড়ে চর্চায় এসেছে- ডিআইএনকে। অর্থাৎ ডুয়াল ইনকাম নো কিড। সংসার চালাতে এখন স্বামী, স্ত্রী দুজনেই কর্মরত। অনেক সময় মহিলারা বেশি অর্থ আয় করেন সংসারে। এবার একটি সমীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট উঠে এলে। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্ত্রীরা বেশি আয় করলে অবসাদে ভোগেন স্বামীরা। যাকে বলা হচ্ছে ‘ওয়েলদি ওয়াইফ আনহ্যাপি লাইফ’। আয় ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সুইডেনে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেখানে শুধুমাত্র মহিলারা সংসার চালান সেখানে দম্পতির মধ্যে বড় রকমের মানসিক সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে পুরুষদের। সুইডেনের মতো উন্নত দেশেও এই ঘটনা ঘটেছে। সমীক্ষকরা জানিয়েছেন, যেখানে স্ত্রীরা বেশি রোজকার করছেন সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের শুশ্রুষার দরকার হচ্ছে। দ্য ইকনমিক জার্নালে এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন ডেমিট গেটিক। যেসব দম্পতির মধ্যে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল তাঁদের গড় বয়স ৩৭। সেখানে আয়ের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উঠে এসেছে। দেখানো হয়েছে, কীভাবে আয়ের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ভালোমন্দ জড়িয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কতটা বিপজ্জনক HMPV, জেনে নিন বিস্তারিত
তবে পাওয়া এই সমীক্ষা রিপোর্টের কারণ বা এর মূল্যায়ন সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট সীমারেখা বেঁধে দেওয়া হয়নি। সমীক্ষক দলের প্রধান জানিয়েছেন, আগেকার দিনে সাহিত্যে পুরুষদেরকে সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী হিসেবে দেখানো হত। তবে সেই ধারা কিন্তু এখনও চলে আসছে। সুইডেনের মতো লিঙ্গ সাম্যের দেশেও।
দেখুন অন্য খবর: